ব্রেকিং নিউজ

img/news-single-img/post-img-01.jpg

পৃথিবীর গতির সাথে এখন তাল মিলিয়ে চলাই কঠিন। বিজ্ঞান প্রযুক্তির প্রভুত উন্নতির সাথে সাথেই ক্রমশ পৃথিবীও তার বদলে যাওয়ার গতি বাড়াচ্ছে। আর এই গতিবৃদ্ধির যুগে বেড়ে গিয়েছে প্রতিযোগিতা। তার প্রভাব পড়ছে বাজারে। আর এই মুনাফার প্রতিযোগিতার মাঝে পড়েই বিভিন্ন জিনিসের গুণমাণ নিয়ে আপোষ করা হচ্ছে। এমনকি বাদ যাচ্ছে না খাদ্যদ্রব্যও। আর এর চেয়ে ভয়ের আর কি ই বা হতে পারে। আমরা যা খাচ্ছি তা যদি আমাদের শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হয় তাহলে আর কোথায় যাবে মানুষ। কিন্তু সারা পৃথিবীতেই এই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। ভেজাল বাড়ছে প্রতিদিনের খাওয়ারে আর তাই হতে পারে আপনার শরীরের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির কারণ। ক্যানসারের মত জটিল রোগের  সম্ভাবনাও রয়েছে।

মূলত দুই রকলের ভেজাল এখন খাদ্যে মেশানো হয়

 

মূলত দুই রকলের ভেজাল এখন খাদ্যে মেশানো হয়। খাদ্য উৎপাদনের সময়ে একবার আর খাদ্য উৎপাদন হয়ে গেলে একবার। এমনিতেই নানা প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে যাওয়ার কথা ডাক্তাররা বলে থাকেন কিন্তু তাতেই কি নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে? উত্তরটা হল - না। কারণ, একেবারে সরাসরি প্রকৃতি থেকে আমরা যেসব খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করি তাতেও এখন উৎপাদনের সময়েই মেশানো হছে নানা রকমের রাসায়নিক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরেই এইসব রাসায়নিক এসেছে। কিছু রাসায়নিক বৈজ্ঞানিকভাবেই ব্যবহার করা হয়। সঠিক রাসায়নিক সঠিক পরিমাণে মেশালে তাতে কোনো অসুবিধে হয় না। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বাড়তি মুনাফার জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত ও বেআইনি নানা রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। যাতে ফসলের পরিমাণ বাড়লেও তা হয়ে ওঠে বিষাক্ত। ধীরে ধীরে যা মানুষের শরীরে ক্ষতিসাধন করে৷ একই জিনিস হয় মৎস উৎপাদনের ক্ষেত্রে। জলে নানারকমের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় মাছের দ্রুত বংশবৃদ্ধির আশায়৷ কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা হয়ে ওঠে ক্ষতিকর।

 

উৎপাদনের পরেও আরেকরকম ভেজাল মেশানো হয়। ফসল অথবা উৎপাদিত মাছকে আরও দেখতে সতেজ দেখানোর জন্য মেশানো হয় নানারকম রাসায়নিক সার ও কেমিক্যাল। এগুলি ভয়ংকর ক্ষতি করে মানবদেহের। এইসব জেনেও মুনাফার আশায় একদক অসাধু মানুষ এইসব করে চলেছেন। প্রয়োজনীয় নজরদারিরও অভাব থেকে যায়। যার ফলে খাদ্যজাত রোগ এক ভয়ংকর বিপদ হয়ে দাঁড়াচ্ছে আমাদের সামনে।

 

এমনিতেই সারা বিশ্বের বাজারে কত খাবার যে আছে! এসব খাবারের কোনটা আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর কিভাবে প্রভাব ফেলছে তা জানা কঠিন। তবে এ কথা সত্য যে নির্দিষ্ট কোন খাদ্যের প্রতি আমাদের আসক্তি ও সেসব খাবার তুলনামূলকভাবে বেশি গ্রহণ আমাদের মৃত্যুকে এগিয়ে আনে।

স্বাস্থ্য নষ্টের এখন সবচেয়ে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে তেল

 

 আমাদের দেহের জন্য চর্বি বা ফ্যাটজাতীয় উপাদানের দরকার আছে সত্য, কিন্তু ওটা প্রকৃতিতে জন্মানো ও উৎপাদিত প্রতিটি খাবারের মধ্যেই কম-বেশি আছে। দেহের জন্য যতটুকু দরকার তা নিয়মমতো খাবার খেলে মানে তেলছাড়া রান্না করে খেলেও তা যথেষ্ট। অথচ প্রতিদিন আমরা বিভিন্ন খাবার তৈরিতে প্রচুর পরিমাণে তেল ব্যবহার করছি ও খাচ্ছি। এটাই বাড়তি হয়ে দেহে মেদের আকারে জমছে ও উচ্চ রক্তচাপসহ হৃদরোগ তৈরি করছে। বিশ্বব্যাপী এখন স্থূলতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এসবের জন্য দায়ী আসলে অতিরিক্ত তেল বা চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া। অথচ যে খাবার আমাদের রোজ খাওয়া দরকার তা খাচ্ছি না। খাদ্য তালিকার বাইরে রয়ে যাচ্ছে সেগুলো। এর মধ্যে অন্যতম প্রয়োজনীয় একটি আদর্শ খাদ্য হলো দুধ। নারীদের হাড় মজবুত রাখতে বিশেষভাবে দুধ খাওয়া দরকার। হাড় মজবুত হলে নারীদের আথ্রাইটিস ও অস্টিওপোরেসিস প্রতিরোধ হয়। নিয়মিত টাটকা ফল ও শাকসবজি খেলে কোলস্টেরলের মাত্রা কমে, এতে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

 

ডাক্তাররা বারবার বলছেন এই বিপদের প্রতি এখনই সচেতন না হলে আমাদের সামনে সমূহ সমস্যা। এমনিতেই মানুষের শরীরে নানা রোগের আনাগোনা বাড়ছে এমনিতেই। তার উপরে এই সমস্যা ডেকে আনছে ব্লাডসুগার, ব্লাডপ্রেশার, থাইরয়েড, ইউরিক্যাসিড, কোলেস্টেরল প্রভৃতির সমস্যা, কিডনিতে পাথর, লিভারে অস্বাভাবিকতা বা ত্বকের সমস্যার মত নানা রোগ৷ আর এইসবের উপরে সবচেয়ে বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ক্যানসার। আমাদের দেশে ক্যান্সার রুগির সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ। অথচ এখনও এর কোনো ট্রিটমেন্ট নেই।

 

তাই এখনই আমাদের খাদ্যজাত রোগ সম্পর্কে সচেতন হয়ে এই বেনিয়মগুলি ঠেকাতে হবে নাহলে আমাদের এই পৃথিবী হয়ে উঠবে ওয়ার্ল্ড অফ ডিজিস!

You Might Also Like

Our Newsletter

স্কিল নিউজ